সিবিএন ডেস্ক
বাংলাদেশ ব্যাংক এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বর্তমান সরকার অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, যার ইতিবাচক প্রভাব দেখতে আরও সময় প্রয়োজন।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি জানায়, দেশের অর্থনীতি একটি বড় রূপান্তরের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে সরকার নানাবিধ কর্মকৌশল হাতে নিয়েছে। এসব পদক্ষেপের সফল বাস্তবায়নে রাজনৈতিক ও আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সমর্থন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক আরও জানায়, মুডিস শিগগিরই বাংলাদেশ সফর করে সামগ্রিক পরিস্থিতি মূল্যায়ন করবে বলে আশা করা হচ্ছে। এরপর সরকারের গৃহীত নীতি ও উন্নয়নের সঠিক মূল্যায়ন সম্ভব হবে।
গত সপ্তাহে মুডিস বাংলাদেশের দীর্ঘমেয়াদি ঋণমান ‘বি১’ থেকে ‘বি২’-এ নামিয়ে আনাসহ অর্থনীতির পূর্বাভাস ‘স্থিতিশীল’ থেকে ‘ঋণাত্মক’ করেছে। মুডিসের মতে, সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতা, নিম্ন প্রবৃদ্ধি, ব্যাংকিং খাতের ঝুঁকি ও তারল্যের চাপ রেটিং হ্রাসের পেছনের কারণ।
এছাড়া, বুধবার (২০ নভেম্বর) মুডিস দেশের ছয়টি বেসরকারি ব্যাংকের ঋণমান কমিয়েছে। এসব ব্যাংক হলো ব্র্যাক ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, ডাচ-বাংলা ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক, মার্কেন্টাইল ব্যাংক ও প্রিমিয়ার ব্যাংক।
মুডিসের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়লেও রিজার্ভের স্থিতিশীলতা কমায় অর্থনীতিতে বাহ্যিক চাপ অব্যাহত রয়েছে। এছাড়া, স্বল্পমেয়াদি ঋণের ওপর ক্রমবর্ধমান নির্ভরশীলতা তারল্য সংকটের ঝুঁকি বাড়িয়েছে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।